
খতিয়ানে দাগ নম্বর ভুল তুলেছিল জরিপ বিভাগ। এ নিয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন রাজশাহীর পবা উপজেলার হতদরিদ্র ৯ কৃষক। ৪৪ কার্যদিবস আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে তাদের। এতে অনেক অর্থ ও সময় গেছে তাদের। কিন্তু সময় ফিরে না পেলেও অর্থ ফিরে পাচ্ছেন বাদীরা।
রাজশাহীর পবা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মামলা পরিচালনায় বাদীপক্ষের খরচ সরকারকে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিক্রিও দেয়া হয়েছে মামলায়।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন তিনি। জরিপ বিভাগের গাফিলতিতে এই ভোগান্তি বলেও রায়ে জানিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর (পবা) সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন পবা উপজেলার সরমঙ্গলা এলাকার আবদুস সালামসহ ৯ হতদরিদ্র কৃষক। মামলা নম্বর ৩১/২০১২। ৩৯ শতাংশ জমির দাগ নম্বর ভুল নিয়ে মামলাটি দায়ের হয়। আজ ৪৪তম কর্মদিবসে মামলাটি নিস্পত্তি হলো।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী সেলিম রেজা।
তিনি জানান, আরএস রেকর্ডের সময় বাদীর খতিয়ানে ৪২৫ নম্বর দাগের পরিবর্তে দাগ নম্বর বসানো হয় ৪১৫। সরকারের জরিপ বিভাগ এটি করেছে। খতিয়ানের এই ভুল লিখনের কারণে স্বত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বত্ব ঘোষণার দাবিতে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এই মামলায় জবাব দিয়ে বাদীর দাবির সত্যতা স্বীকার করে নেয় সরকার।
উভয় পক্ষের শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালত বাদীর স্বত্ব ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে, আদালত বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনার খরচ সরকারকে বহন করার নির্দেশ দেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর বা তার আগে এই মামলা পরিচালনা-সংক্রান্ত খরচের হিসাব বিবরণী আদালতে উপস্থাপন করার জন্য বাদীপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল।