
প্রেমের কারণে টানা ৬০ বছর গোসল না করা আমু হাজি-র গল্প
চ’রম গরম আবহাওয়ার মধ্যে থেকেও টানা ৬০ বছর গোসল করেননি। তবু তিনি দিব্যি আছেন। কী বিশ্বাস হচ্ছে না তো। এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ইরানে।
দক্ষিণ ইরানের একটি গ্রামের বাসিন্দা আমু হাজি-র। বয়স ৮০ ছুঁয়েছে। সে গেলো ৬০ বছর ধরে গোসল করা বন্ধ করে দিয়েছে। বেঁচে চলেছে এক অদ্ভুত জীবন। কিন্তু কেন এমন জীবন বেছে নিয়েছে মানুষটা?
একা একা থাকতে থাকতে একা’কীত্বের সঙ্গে ল’ড়াইটা আমু জিতে গেছে ঠিকই। কিন্তু মাঝে মাঝে সা’পের বি’ষের মতো একা থাকার ক’ষ্টটা কেমন যেন র’ক্তে মিশতে থাকে ৮০ বছরের বৃদ্ধের। তখন মাথা ঠিক থাকে না।
মনে হয় একটু ধূ’মপান করলে ভালো হত। সে সময় আমু ধূ’মপান করে। বাতাসকে ভা’রি করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় ধোঁ’য়ার জাল। তবে তিনি তা’মাক দিয়ে ধূ’মপান না করে তার পছন্দ প্রাণীদের শুকিয়ে যাওয়া বি’ষ্ঠা দিয়ে ধূ’মপান করেন।
এমন জিনিস দিয়ে নে’শা করলে নাকি দারুণ আমেজ তৈরি হয় বলে দাবি এই আজব মানুষটির। আমু হাজি-র হঠাৎ একদিন মনে হয়েছিল গোসল করলে নাকি সে অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই সে ২০ বছরের পর থেকে গায়ে পানি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
শুধু তাই নয় তার খাওয়া-দাওয়াও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। আমু খিদে পেলে ভাত-রুটি খায় না তার প্রথম পছন্দ পচে যাওয়া সজারু। আর এমনটা সে ১-২ বছর নয় টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছে। যখন তার দাঁড়ি অনেকটাই বড় হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত অংশটা কে’টে না ফেলে আ’গুন দিয়ে পু’ড়িয়ে দিতেই সে ভালবাসে।
তবে কেন করেন এমনটা? এই প্রশ্নের উত্তর একবার আমু জানিয়েছিল, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো সে এমনটা করে থাকে।
তবে যে গ্রামে আমুর ২০ বছর কেটেছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানায় আমু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর পরই একটি মেয়েকে খুব ভালবেসে ফেলেছিল। কিন্তু অদৃ’ষ্টের প’রিহাসে সেই মেয়েটি তাকে ছে’ড়ে চলে যায়।
সেই য’ন্ত্রণায় সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন আমু হাজি। সেই থেকেই তার বাস জঙ্গলে জঙ্গলে। বন্ধ গোসল খাওয়া-দাওয়া। তবে ডাক্তাররা ভেবেছিলে নোং’রাভাবে থাকতে থাকতে, নোং’রা খাবার এবং পানি খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় বি’ষাক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। ওই চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অ’ত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁ’ধেনি।
শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি। এদিকে আমু জানান, এমন জীবনে তিনি খুব খুশি। তার মতে, যারা বড় বড় অট্টালিকায় থাকে তাদের অনেক কিছু হা’রানোর ভ’য় থাকে। তার কাছে কিছু নেই হা’রানোর মতো, যা ছিল তা অনেক আগেই সে হারিয়ে ফলেছে। তাই এই পৃথিবীতে তার থেকে খুশি মানুষ আর দ্বিতীয় কেউ নেই।
Leave a Reply