
ই-কমার্সের নামে অবৈধভাবে এমএলএম কোম্পানি পরিচালনা ও গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
২২ লক্ষাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণা করে ২৬৮ কোটি টাকা ইতোমধ্যে প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। এভাবে তাদের দৈনিক আয় প্রায় এক কোটি টাকা।
সোমবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বন্ধ হয়ে যাওয়া বহুল আলোচিত এমলএম কোম্পানি ডেসটিনির আদলে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিতে প্রতারণার ফাঁদ পাতে আল আমিন প্রধান ও তার সহযোগীরা।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ডেসটিনির ব্যবসাকে দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এ পথ বেছে নেয় তারা। সফলও হয় এই চক্র। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৮ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পিরামিড আকৃতির এ ব্যবসার মাধ্যমে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ই-কমার্সের নামে লাইসেন্স নিয়ে মাত্র ৮ মাসে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের নামের এই প্রতিষ্ঠান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, প্রথমে এক হাজার ২০০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি নিত চক্রটি। ভালো সুবিধা দেওয়া প্রলোভনে ২২ লাখ গ্রাহককে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসে। পরে প্রতারণা মাধ্যমে ১০ মাসে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
হাতিয়ে নেয়া অর্থ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি, একটি পিকআপ, সার্ভারে ব্যবহৃত ৬টি ল্যাপটপ, ২টি রাডার, ২টি পাসপোর্ট ও বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের আরও কার্যক্রম কীভাবে চলছে, সেটি তদন্ত-স্বার্থে আমার খুঁজে বের করব।
কারও অভিযোগের ভিত্তিতে নয় বরং স্বপ্রণোদিত হয়ে গোয়েন্দা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেছে জানিয়ে ডিবি বলছে, অবৈধভাবে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবেন তারা।