
কেউ কাউকে কখনো দেখেনি, তবুও ২০ বছরে ভালোবাসা কমেনি একটুও২০ বছ’রের পরি’চয়ে বন্ধু’ত্ব, প্রেম ও বিয়ে—স’বই হয়েছে; তবে ভা’লোবা’সা ক’মেনি একটু। যারা ব’লেন, ভালো’বাসা ‘অ’ন্ধ; তারা রফি’কুল ইসলাম ও না’সরি’ন আক’তারের গল্পটা উদা’হ’রণ হিসে’বে নিতে পারেন। এই দ’ম্প’ত্তি দে’খিয়ে দি’য়েছেন, ভালো’বাসতে জানলে চোখে দেখতে হয় না।
বিয়ের আগে র’ফিকুল ও নাস’রিনের পরি’চয় ১৮ বছরের পরিচয় ছিল। তখন তারা দু’জনই প্রা’ইমারি স্কু’লে প’ড়তেন। তা’রপর ‘হাইস্কু’ল এবং কলেজে পড়েছেন, এই সম’য়’কালে না’সরিন রফি’কু’লের প্রে’মের প্র’স্তা’ব ৯ বার প্র’ত্যা’খ্যান করেন।
এর নে’প’থ্য গল্প জা’না’লেন র’ফিকুল। তিনি বলেন, এখন’কার যু’গে সবাই চেহারা দেখে প্রে’মে পড়ে। মানু’ষের ভে’তর’কার ম’নের প্রে’মে পড়ে না কেউ। অথচ আমরা কেউ কখ’নো কা’উকে দেখিনি। আ’মাদের কাছে কা’রো উ’চ্চতা গা’য়ের রং চেহারা কি’ছুই আসে যায় না। আম’রা জানি না কে দে’খতে কেমন।
নাস’রিন বলে’ন, আ’মি জানি না রফিক দেখতে কেমন। আ’মা’কে রফিক বা’রবার প্র’পো’জ দেয়া’র পরে রি’জে’ক্ট ক’রতে করতে এক’টা সময় রফি’ক’কে অ’নুভব ক’র’তে পারি। আমি আর র’ফি’ক খুব ভালো বন্ধু ছি’লাম।
আমি ক’খ’নো ক’ল্পনাও করিনি ব’ন্ধুত্বের বাইরে আ’মা’দের ম”ধ্যে অ’ন্য কোনো স’ম্পর্ক হবে। কিন্তু র’ফিকে পাগ’লাটে ভা’লোবা’সায় আমিও রফিকে’র প্রে’মে পড়ে যাই। আ’মরা প্রে’মের সম্প’র্কে জ’ড়াই।
রফি’কুলে’র ব’য়স যখন এক বছর, তখন টাই’ফয়ে’ডে ভু’ল চিকি’ৎসার জ’ন্য তার দু’চোখ পু’রোপু’রি অ’ন্ধ হয়ে যায়। আর নাস’রিন জন্ম থেকে’ই অ’ন্ধ। কিন্তু তাদের ভা’লোবা’সায় কো’নো ক’মতি নেই। বিয়ে’র দু’বছর হলো, সংসারও চলছে’ ঠি’কঠাক মতো। আর ভা’লো’বাসা? বরং বেড়ে’ছে।
এ হচ্ছে র’ফিক আর নাসরি’নের ভালো’বাসা’র গল্প। তারা দু’জনই শি’ক্ষিত। নাসরিনের ব’য়স ১৯ আর রফি’কের বয়স ২৩। রফিক বলেন, আমি এখন ছো’টখাটো’ চা’করি করি। আ’মি নাস’রিন’কে নিয়ে ভালোই আছি। নাসরিন অ’সাধা’রণ একটি মেয়ে। সে সব রান্না ক’রতে পারে। অনেক বু’দ্ধী’মতী একটি মেয়ে। আমি সত্যিই খুব ভা’গ্যবান নাস’রিনকে পেয়ে।