
‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’ ২৬, দেবীদাস ঘাট লেন, চকবাজার, ঢাকা। এটি ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের বাড়ি। এ বাড়িতে থাকেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী এ বাড়িতে আজ সোমবার দুপুরে অভিযান চালায় র্যাব-১০-এর একটি দল।
অভিযানকালে কৌতূহল বশত শত শত মানুষ জড়ো হয় চকবাজার এলাকায়। আটতলা বিশিষ্ট বাড়িতে হাজি সেলিম নিজে এবং তাঁর ছেলেরা থাকেন। হাজি সেলিমের তিন ছেলে। তাঁর মেজ ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম থাকেন পঞ্চম তলায়।
চতুর্থ তলায় থাকেন ইরফান সেলিমের স্ত্রী, বাড়ির দ্বিতীয় তলায় হাজি সেলিম এবং ষষ্ঠ তলায় থাকেন বড় ছেলে সুলাইমান সেলিম। ছোট ছেলে আশিক সেলিম অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করেন। বাকি তলাগুলো ভাড়া দেওয়া রয়েছে।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে আজ বিপুল দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ছাড়া বাসা থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল, এয়ার গান ও বেশ কিছু ওয়াকি টকি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে থাকা র্যাব-১০-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু আজ সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র, বিপুল দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই অস্ত্র বৈধ নাকি অবৈধ তা যাচাই করা হচ্ছে। এখনো অভিযান চলছে।’
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেত্বত্বে ও র্যাব-১০-এর সহযোগিতায় বিপুল র্যাব সদস্য হাজি সেলিমের ছেলের বাসায় অভিযান চালান। দুপুর ১২টার পর থেকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান, অভিযানের সময় সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর থেকে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’ ঘিরে রাখেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরে তাঁরা বাসায় প্রবেশ করেন।
হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গতকাল রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদ মামলার ৩ নম্বর আসামি। ওই মামলার আসামি হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী জানান, রাতের ঘটনায় সোমবার সকালে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৬। এ মামলার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।