
ভাগ্য কখন কাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটা বোঝা বড় মুশকিল। আজ যাকে ঘিরে চারদিকে ভালোবাসার ভিড় কাল তিনি একা। কোথাও কেউ নেই। আজ যাকে মানুষ অবহেলা করে গেল কাল সে স’ম্মানিত। সবই আ’সলে প্র’কৃতির খেলা।
স’ম্প্রতি ভাগ্য পরিবর্তনের এক ক’রুণ গল্প জা’নালো ভারতীয় গণমাধ্যম। সেখানে বলা হয়েছে একজন তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা কীভাবে সব হা’রিয়ে ম’রণব্যা’ধিতে আ’ক্রান্ত হয়ে নিঃস’ঙ্গ জীবন কা’টিয়ে গে’লেন। এ গল্প ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দীপিকা পাডুকোন বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো হয়তো সবাই এক নামে তাকে চিনবে না। তবে দক্ষিণী ফিল্মে আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন নিসা নুর। তার জনপ্রিয়তা আঁচ করা যায় এটা জে’নে, নিসার স’ঙ্গে অভিনেত্রী ক’রতে নিজে’রাই আ’গ্রহ প্র’কাশ করেছিলেন তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত ও কমল হাসান।
বালাচ’ন্দন, বিষু, চ’ন্দ্রশেখরের মতো এককালের নামকরা সব পরিচালকের স’ঙ্গে কাজ ক’রেছেন নিসা নুর। ‘কল্যা’না আগাথিগাল’, ‘লায়ার দ্য গ্রেট’, ‘টিক! টিক! টিক!’-এর মতো প্রচুর হি’ট ফিল্মে অভিনয় ক’রেছেন। মূলত তামিল এবং মালায়লম সিনেমাতেই অভিনয় ক’রতেন তিনি।
এমন হি’ট নায়িকার জীবন কিন্তু ছিল হ’তাশায় ভরা, শেষ জীবনে অ’র্থক’ষ্টে রাস্তায় কা’টাতে হয়েছে তাকে। গায়ে পোকা, মাছি বসে থাকত। শেষে এইডসে আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ ত্যু হয় তার।
ক্যারিয়ার তু’ঙ্গে থাকা অব’স্থায় অপ্র’ত্যাশি’তভাবেই আ’চ’মকা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হা’রিয়ে যান তিনি। শোনা যায়, সে সময় নাকি এক নাম করা প্রযোজকের খ’প্পরে পড়ে গিয়েছিলেন নিসা। ওই প্রযোজক তার স’ঙ্গে প্র’তারণা করেছিলেন। তাকে যৌ’ন পেশায় নামতে বা’ধ্য করেছিলেন।
এই খবর ছ’ড়িয়ে পড়ার পর ই’ন্ডাস্ট্রি তার থেকে মুখ ফি’রিয়ে নিয়েছিল। কেউই তার স’ঙ্গে কাজ ক’রতে চাইছিলেন না। বা’ধ্য হয়েই ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে গু’টিয়ে নেন নিসা নুর। কাজ হা’রিয়ে ক্র’মে আর্থিক দুরব’স্থার মধ্যে পড়েন তিনি। দিনের পর দিন খেতে পেতেন না। এই সময়ে তার পাশে দাঁড়ানোরও কেউ ছিল না।
অনেক বছর পর ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের একটি দরগার বাইরে রাস্তায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ক’ঙ্কালসার চেহারা, মলিন পোশাক, গায়ে পোকা, মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তিনি এতটাই শী’র্ণ ছিলেন যে মাছি তাড়ানোরও শ’ক্তি ছিল না দে’হে। দেখে বোঝার কোনো উপায়ই ছিল না যে তিনিই সেই নিসা নুর।
তাকে চিনতে পেরে একটি স্বে’চ্ছাসেবী সং’স্থা স্থা’নীয় হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎ’সায় ধ’রা পড়ে তিনি এইচআইভি-তে আ’ক্রান্ত। অবশেষে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃ ত্যুবরণ করেন তিনি।