
নিজের ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিকলি প্রকাশ করা ঠিক না কিন্তু মানুষের আচরণে বাধ্য হলাম। আমি ছোটখাটো একটি সরকারি জব করি।তাও আবার প্রবেশন পিরিয়ড। তাই কোন টিএ/ডিএ বিলও নেই। শুধু মাসিক বেতন।যা বেতন পাই সেখান থেকে বিভিন্ন ফান্ডে কর্তন করার পর যা পাই তা দিয়ে নিজের খরচ করার পর অল্প যা থাকে বাসায় দেই বা কোন কোন মাসে বাসায় টাকা দিতে পারি না।
এই অবস্হার মধ্যে মাঝে মাঝে অনেকে ৫/১০/২০ হাজার টাকা ধার বা গিফট দাবি করে। তাদের ধারণা আমার মাসিক ইনকাম নূন্যতম ১লক্ষ+ টাকা।সেখান থেকে তাকে ৫-৭ হাজার দিলে সমস্যা কি?
কারো কারো ধারনা আমি কৃপণ, কারো ধারণা আমি ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছি, কারো ধারণা আমি শহরে জমি বা বাড়ি কিনেছি,কারো ধারণা আমি অন্য খাতে ব্যয় করি।
যাদের ধারণা এরকম তাদের উদ্দেশ্যঃ
১)আমি কোন ভি;ক্ষুক না। সুতরাং এ ৮ মাসে কারো কাছে ভি;ক্ষা চাই নাই। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও চাইব না।( ভি;ক্ষুক বলতে কাজের বিনিময়ে ঘু;ষ দাবি বুঝিয়েছি।যদিও প্রবেশন পিরিয়ডে সুযোগ কম)
২)আমি চাঁদাবাজ না।সুতরাং কারো নিকট থেকে চাঁদাও উত্তোলন করি নাই।
৩)আমি দালালও না। সুতরাং এ পর্যন্ত কারো দালালি করেও এক পয়সাও ইনকাম করি নাই। বরং বিভিন্ন কাজে পরিচিত লোকজন আসলে তাদের চা নাস্তা বাবদ নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা খরচ হয়।
আর এই ৮ মাসের সার্ভিস লাইফে কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন যে আমি কারো কাছে ভি;ক্ষা চাইছি,চাঁদা তুলছি বা অন্য কোনভাবে ১ টাকাও অবৈধভাবে আয় করেছি তাহলে সাথে সাথে চাকরি হতে অব্যহ;তি প্রদান করব।
বি.দ্র.বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সম্মানিত প্রিন্সিপ্যা;ল স্যারের উদ্যো;গে আমার যে সকল ব্যাচমেট স্বে;চ্ছায় পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে মহান আল্লাহর কাছে হালাল রিজিকের ওয়াদা করেছে আমি তার একজন। দোয়া করবেন যেন সেই ওয়াদা রক্ষা করতে পারি।
Md Nahid Hasan উপ- পরিদর্শক ( বাংলাদেশ পুলিশ