
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করো’নাভাইরাস সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুরো পৃথিবী। এরইমধ্যে আবার নতুন এক ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে চীনে।
চীনের গ্লোবাল টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে নতুন এক ভাইরাসে সাত জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। তাছাড়া সংক্রা’মিতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। সরকারিভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশেষ এক ধরনের র’ক্তচোষা পোকার কামড় থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ।
জানা গেছে, জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের এক আ’ক্রা’ন্ত নারী জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। জ্বর না-কমায় চিকিৎসকরা র’ক্তপরীক্ষা করাতে দেন। তাতে দেখা যায় লিউকোসাইট কমে গেছে। প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। হাসপাতালে রেখে এক মাসের উপর চিকিৎসা চলে। তার পরেই নারী সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে, জানা যায় ওই নারী নতুন ভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত।
গ্লোবাল টাইমসর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনহুই ও জিয়াংসু প্রদেশে নয়া ভাইরাসের সংক্রমণে সাত জন এ পর্যন্ত মা’রা গেছেন।
পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের শরীরে নতুন ‘এসএফটিএস’ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি সেই স’ঙ্গে লিউকোসাইটের সংখ্যা হ্রাস। যাকে একস’ঙ্গে বলা হচ্ছে ‘এসএফটিএস’।
অ’পরদিকে, পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশে আরো ২৩ জন নতুন এই ভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত। করো’নাভাইরাসের মতো নতুন ‘এসএফটিএস’ ভাইরাস প্রাণঘা’তী কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদিও চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। ২০১১ সালেই এই ভাইরাসের প্যাথোজেনকে পৃথক করা হয়।
চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পোকার দংশনই হল এর প্রধান সংক্রমণ রুট। তাই একটু সাবধানে থাকতে হবে। তবে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার মতো কিছুই ঘটেনি।