
সিদ্দিকুর রহ’মান সিদ্দিক একজন বাংলাদে’শি টেলিভিশন অভি’নেতা। তিনি এক পর্বের টেলিভিশন নাটক ও ধা’রাবা’হিকে বেশি’রভাগ সময় কমে’ডি চ’রি’ত্রে অভিনয় করেন। এই কমেডি অভি’নয়ের মাধ্যমেই তিনি জিতে নিয়ে’ছেন লাখো ভ’ক্তের মন।
পর্দা’য় সিদ্দিকুর রহ’মান যতটা হা’স্য’জ্জল বাস্ত’বেও তার ভি’ন্ন কিছু নয়। অ’স’ম্ভব প’রো’পকারী একজন ব্যক্তি তিনি। ক’রো’না’কালে অনেক অস’হায় মা’নুষ’কেই তিনি আ’র্থিক স’হায়তা করেছেন। তবে এসব সহা’য়তার কোনো কিছুর’ই প্র’চার তিনি ক’রেননি। টাংগা’ইল মধু’পুর এলা’কার অনেক উন্ন’য়নমূ’লক কাজেও তার অ’বদা’ন রয়েছে। তার নামে একটি ঈদ’গা’হ মাঠ র’য়েছে। এছা’ড়া তার নামে একটি ছা’ত্রা’বাসও নি’র্মাণ হচ্ছে। যার স’ম্পূর্ণ খ’রচ তিনি নিজেই বহন কর’ছেন।
প্রচণ্ড পরি’মা’ন মা ভক্ত একজন মানুষ তিনি। সব কা’জের আগেই মায়ের অ’নুম’তি নেন তিনি। মাও তাকে অনেক ভা’লোবা’সেন। তার সব কা;জেই তাকে উৎসাহ দেন। অ’ন্যদিকে বাবা’র প্রতিও তার ছিল অ’সীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
সম্প্রতি এক সা’ক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাবার দেয়া তিন কথা রাখতেই তিনি মিডিয়া ছাড়তে চান। মা’রা যাওয়ার আগে বাবা তা’কে তিনটি কথা বলে’ছিল। যা তিনি পূ’রণ করতে চান।
প্রথম কারণ সিদ্দিক বলেন, বাবা বলেছিল- ‘তুমি যত তা’ড়াতা’ড়ি পার মি’ডিয়া ছে’ড়ে দিও। মিডিয়া তো’মাকে ছাড়তে হবে, কারণ তোমাকে ম’র’তে হবে।’ প’রকা’লের কথা চিন্তা করেই তাকে মিডিয়া ছা’ড়ার কথা বলে’ছিলেন বাবা।
সিদ্দিক
তিনি আরো বলেন, ‘মিডিয়া তোমাকে একবারে ছাড়তে হবে তেমনটা না, মানুষের উপকারে আসে এমন কাজ মিডিয়ায় থেকে তুমি করতে পার।’
দ্বি’তীয় কারণ, তার বাবা বলেছিল, জনগণের জন্য যেন তিনি এমপি পদে নির্বাচন করেন। জ’নগণের সেবা করেন। তৃতীয় কারণটি জি’জ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, এই কা’রণটি জানানো যাবে না। কারণ তা একান্ত গো’প’নীয়।
১৯৯৯ সালে নাটকের দল থিয়ে’টারে অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চে অভিষেক ঘটে সিদ্দিকের। এসময় থিয়েটারের অধী’নে তিনি বলদ, হাজার পো’শাকী রাজার গল্প, পেজ’গীসহ বেশ’কিছু নাটকে অভিনয় করেন। এরপর তারিক আনম খানের নির্মিত একটি চকলেটের বিজ্ঞাপনে অংশগ্র’হণের মা’ধ্যমে শোবিজে আগ’মন করেন কিন্তু তখন তিনি মূ’লত সহ’কারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন।
২০০৫ সালে দীপংকর দীপন নির্মিত “রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য” নাটকে “কাউয়া সিদ্দিক” চরিত্রে অভি’নয়ের মাধ্যমে তিনি নাটকে অ’ভিনয় শুরু করেন। পরবর্তিতে ফাহামির পরিচা’লনায় কবি বলেছেন ও ধা’রাবা’হিক নাটক হা’উসফু’লের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১৩ সালে তিনি আ’রটিভির প্রযোজনাতে “এইতো ভালো’বাসা” নামের একটি চল’চ্চিত্রে অভি’নয় করেন।