
করোনাকালীন সংকট মানুষকে টেনে নামিয়েছে জীবনের মহাসংকটে। বেকার হয়ে পড়ছে দেশের লাখ লাখ মানুষ। কোনো উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি যেন লাগছে না কাজে। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারীর কারনে মানুষের উপলদ্ধি বেড়ে গেছে বহুগুনে। এবার এর প্রতিফলন ঘটেছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একজন যুবকের জীবনে। সবজি তরিতরকারি বিক্রি করে জীবনের কঠিন এক পরিস্থিতি উপলদ্ধি করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গ্র্যাজুয়েট। এই পোস্টটি
গত দু’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।ব্যবসা করছেন। তার এক ক্লাসমেট বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফে’সবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আর তাতে রাতারাতি হয়ে যায় ভা’ইরাল। এরপর বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক গ্রুপ পেইজগুলোতে শেয়ার করা হয়। সেখানে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে শিক্ষার্থীরা। ’একজন তরুণ বসে আছেন আর তার সামনে সবজি তরকারি
পসরা’- এই দৃশ্যের সেলফি তুলেছেন ওই শিক্ষার্থী নিজেই। আর সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন তার এক ক্লাসমেট বান্ধবী। তিনি ছবি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, “কি মনে হচ্ছে দেখে? সবজি বিক্রেতা? ঠিকই ধরেছেন। সে সবজি ব্যবসায়ী।” “আমার ক্লাসমেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বেকার ছিলো। এখন আর বেকার না। করোনাকালীন অবসর সময় সে সবজি বিক্রি করে আয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। এটাকে অর্থনীতির ভাষায়
কি বলে জানেন? উদ্যোক্তা।” “যেখানে আপনার আমার স্কুল পাশ ভাইবোনরা লজ্জা পায় কোন উদ্যোগ নিতে সেখানে সে ঢাবি থেকে মাস্টার্স পাস করে খুশি মনে উদ্যোগ নিয়েছে। সে কি একটু হলেও আপনার আমার মনের ভয় দূর করতে পেরেছে? মনকে মুক্তি দিতে পেরেছে? সমাজের কাছে নিজের মনকে, স্বাধীনতাকে আর বন্দি করে রাখবেন না। চোখ খুলুক আপনার আমার।” এস কে শিমুল নামের আরেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে মন্তব্য করেন, এসব মানুষকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। অবশ্যই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
পাল্টানো উচিত। বিভিন্ন উন্নত দেশে যেখানে কৃষিকাজ করা সম্মানের সেখানে দেশের কথা নাই বা বলি। যাই হোক সকল প্রকার হালাল পেশাই সম্মানের। ভাইকে ধন্যবাদ দুষিত সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর জন্য। আর বলতে দ্বিধা নেই আমিও এমনই কিছু একটা করছি। এই স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়ে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, এই তথ্য নতুন প্রজন্মের সামনে আরো বেশী বেশী আসা উচিৎ ভর্তি হওয়ার আগেই যাতে তারা জেনে নিয়ে ভর্তি হতে পারে। যে এই বিভাগে কতজন বিসিএস বা অন্য সব